🔥🔥🔥🔥ইংরেজী নিয়ে কিছু মজার এবং
বিস্ময়কর তথ্যঃ🔥🔥🔥
🔥1. সবচেয়ে লম্বা ইংরেজি শব্দ হল-
"Floccinaucinihilipilification".
🔥2. 80 কে letter marks বলা হ্য় কারণ L=12,
E=5, T=20, T=20,E=5, R=18,(অক্ষরের অবস্হানগত
সংখ্যা) সুতরাং 12+5+20+20+5+18=80.
🔥3. ইংরেজি "madam" ও "reviver" শব্দকে
উল্টো করে পড়লে একই হবে।
🔥4. “a quick brown fox jumps over the lazy
dog” বাক্যটিতে ইংরেজি ২৬টি অক্ষর আছে।
🔥6. “Education” ও “Favourite” শব্দে সবগুলো
vowel আছে।
🔥7. “Abstemious" ও "Facetious ” শব্দে সবগুলো
vowel আছে। মজার ব্যাপার হল শব্দের vowel
গুলো ক্রমানুসারে ( a-e-i-o-u) আছে।
🔥8. ইংরেজি Q দিয়ে গঠিত সকল শব্দে Q এ
পরে u আছে।
🔥9. "Queueing" এমন একটি শব্দ যার মধ্যে
৫টি vowel একসঙ্গে আছে।
🔥10. একই অক্ষরের পুনরাবৃত্তি না করে
সবচেয়ে দীর্ঘ শব্দ হল "Uncopyrightable"।
11. "Rhythm" সবচেয়ে দীঘ ইংরেজি শব্দ
যার মধ্যে vowel নাই।
12. "Floccinaucinihilipilification" সবচেয়ে
বেশি vowel সমৃদ্ধ শব্দ যাতে ১৮টি vowel আছে।
13. vowel যুক্ত সবচেয়ে ছোট শব্দ হল A (একটি)
ও I (আমি) ।
14. vowel বিহীন সবচেয়ে ছোট শব্দ হল By।
15. গুপ্তহত্যার ইংরেজি প্রতিশব্দ
"Assassination" মনে রাখার সহজ উপায় হল
গাধা-গাধা-আমি-জাতি।
16. "Lieutenant" শব্দের উচ্চারণ লেফট্যান্যান্ট
বানান মনে রাখার সহজ উপায় হল মিথ্যা-তুমি-
দশ-পিপড়া।
17. "University"লেখার সময় v এর পরে e ব্যবহৃত
কিন্তু "Varsity" লেখার সময় v এর পরে a ব্যবহৃত
হয়।
18. “Uncomplimentary” শব্দে সবগুলো vowel
আছে। মজার ব্যাপার হল শব্দের vowel গুলো
উল্টো ক্রমানুসারে ( u-o-i-e-a) আছে।
19. “Exclusionary” ৫টি vowel সমৃদ্ধ এমন একটি
শব্দ যার মধ্যে কোন অক্ষরের পূনারাবৃত্তি
নাই।
20. ”study, hijak, nope, deft” শব্দগুলোর প্রথম ৩ টি
অক্ষর ক্রমানুসারে আছে।
21. “Executive" ও "Future“এমন দুটি শব্দ যাদের
এক অক্ষর পর পর vowel আছে।
22. "Mozambique" এমন একটি দেশের নাম যাতে
সবগুলো vowel আছে।
23. A1 একমাত্র শব্দ যাতে ইংরেজী অক্ষর ও
সংখ্যা আছে।
24. I এর পরে am বসে কিন্তু I is the ninth letter of
alphabet !!!!!!!!!!!!
25. It is raining. Bristi is reading.
বাক্য দুইটির অর্থ কিন্ত একটাই, বৃষ্টি পড়ছে।
26."Queue" একমাত্র ইংরেজি শব্দ যার শেষের
৪ অক্ষর বাদ দিলেও একই উচ্চারণ হয় ।
27."Understudy" এমন একটি শব্দ যাতে ৪টি
ক্রমিক অক্ষর rstu আছে ।
28. "Stewardesses" হল সবচেয়ে বড় ইংরেজি শব্দ
যা কিবোর্ডে লিখতে শুধু বাম হাত ব্যবহৃত হয়।
29. "Dreamt" একমাত্র ইংরেজি শব্দ যার শেষে
mt আছে ।
30. ইংরেজিতে ৩টি শব্দ আছে যাদের শেষে
ceed আছে । সেগুলো হলঃ "proceed" , "exceed" ,
"succeed".
31. "Almost" সবচেয়ে বড় ইংরেজি শব্দ যার
বর্ণগুলো ক্রমানুসারে আছে ।
32. ইংরেজিতে মাত্র ৪টি শব্দ আছে যাদের
শেষে dous আছে। এগুলো হলঃ "tremendous",
"horrendous", "stupendous" , "hazardous".
33. "Lollipop" হল সবচেয়ে বড় ইংরেজি শব্দ যা
কিবোর্ডে লিখতে শুধু ডান হাত ব্যবহৃত হয়।
34. "Screeched" হল এক syllable বিশিষ্ট সবচেয়ে
বড় ইংরেজি শব্দ।
35. "Underground" এমন একটি শব্দ যা প্রথম ৩টি
অক্ষর und শেষেও রয়েছে।
36. "Set" শব্দের সবচেয়ে বেশি অর্থ রয়েছে।
37. therein এমন একটি শব্দ যা থেকে কোন রকম
সাজানো ছাড়াই ১০টি নতুন শব্দ তৈরী করা
যায়। সেগুলো হলঃ the, there, he, in, rein, her,
here, ere, therein, herein.
38. "Typewriter" সবচেয়ে বড় ইংরেজি শব্দ যা
কিবোর্ডে লিখতে শুধু উপরের সারি ব্যবহৃত হয়।
39. "Indivisibility" এমন একটি শব্দ যাতে একটি
মাত্র vowel i ৬ বার আছে।
40. "Bookkeeper" শব্দে ৩ জোড়া অক্ষর oo,kk,ee
পাশাপাশি আছে।
41.১ম দুই বর্ণ অনুচ্চারিত একমাত্র শব্দ :
"Phthisis"(যক্ষ্মারোগ) ।
শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৭
ইংরেজী নিয়ে কিছু মজার এবং বিস্ময়কর তথ্য
প্রিয় বুয়া,
প্রিয় বুয়া, আপনার সঙ্গে আমার ১৩ বছরের গভীর সম্পর্ক।
আপনাকে লিখছি কেন জানি না। আপনি তো পড়তে জানেন না! তবে জানি, আমাদের ঘরের কথা, ক্রাইসিস, আনন্দ, বেদনার আঁচে আপনিও ছিলেন। এই ১৩ বছরে আমি কিশোরী থেকে পূর্ণ যুবতী হয়ে গেলাম। মধ্যের সময়গুলোতে আপনি আমাদের ঘরেই ছিলেন তবু ঘরের সদস্য সংখ্যা গণনাতে অন্তর্ভুক্ত হলেন না।
আপনি আমাদের বুয়া।
আপনি বিয়ে করবেন না। সাহেবি ভাষায় যাকে বলে ডিটারমাইন্ড।
পুরুষ মানুষ নেমকহারাম। বিয়েশাদি জীবনে একবার। সমাজ নামের চুলার আগুনে চা উতরানোর মতোই আপনার মনের আগুন জ্বলে ওঠে এসব কথা। ছ্যাঁৎ! এসব জ্বলনের সঙ্গে জড়িত আপনার শাশুড়িও। এক রাতে খিদেয় কাতর আপনাকে চুরি করে দুটো ভাত খেতে দেখে ওই মহিলা আপনার হাত ভেঙে দিয়েছিল। অবশ্য আপনার সেই স্বামীর মারধরের কথা, শাশুড়ির নির্যাতনের কথা কখনোই আপনি আমাদের বলেননি। জ্ঞানের মধ্যে শুধুমাত্র সেই জ্ঞানটুকুই আপনার মধ্যে বিশেষভাবে লক্ষণীয় ছিল। আপনি আমাদের ঘরের আসবাব কারও দ্বারা নষ্ট হলে তার বারোটা বাজাতেন বলে গ্রামের মানুষের ধারণা, আপনার মাথায় সমস্যা আছে। জ্ঞান নেই। নয়তো পরের জন্য কেউ অমন করে!
এভাবেই প্রথম নয় বছর।
একদিন মধ্য দুপুরে আপনি উন্মাদের মতো আচরণ শুরু করলেন। এমনটা যে আপনি একদমই করতেন না তা নয়। আপনার কিছু সমস্যা ছিল। মেডিকেলের এই টার্মটা আমরা জানতাম বলে যখন আপনার বকাঝকা উঠত, আমরা চুপ হয়ে থাকতে চেষ্টা করতাম। জানতাম একটু পরেই ঠিক হয়ে যাবেন। এটা এত তুমুল ছিল যে, সব সময় চুপ করে থাকতে পারতাম তা নয়। সেই সময়টার জন্য আম্মুর পরামর্শ ছিল—মাহফুজার এই সমস্যাটি আছে বলেই সে আজ আমাদের ঘরে। নয়তো তাকে তো পেতাম না। ওর ভাইবোন কেউ ওর বিষয়টা মেনে নিতে পারেনি বলেই ওর অবস্থান আজ এখানে। ও হ্যাঁ, আপনার নাম মাহফুজা।
তো এভাবেই সেদিন আপনি তুমুল বকাঝকা করতে লাগলেন। পাড়াপড়শিরা ভাবল বোধ হয় এইবার বিদায়ের ঘণ্টা বাজল। ব্যাপারটা আসলে অন্য। আপনি আমার আম্মুর পা টেনে ধরে রাখলেন। পাগলের মতো চিৎকার করে নাকের সর্দি আর চোখের পানি এক করে বলতে লাগলেন, খালাম্মা এই মহিলার সঙ্গে আপনি কথা কইতে হাইরতেন ন। আপনি অফিসে যাইতে হাইরতেন ন। আপনার খালাম্মা পেশাগত দায়বদ্ধতায় আপনার আবেদন আমাদের বোনদের মীমাংসা করতে দিয়ে ত্বরিত গতিতে মহিলা এবং তার মেয়েকে নিয়ে অফিসে চলে গেলেন। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা যেহেতু তিনি।
তারপর আপনি নয় বছরে আমাদের ঘরে তিনবেলা ভাত রান্নার কিরা দিয়ে বিলাপ করে করে বলতে লাগলেন—আই মাফ কইরতাম ন। আই তোরে মাফ কইরতাম ন, এই নাগিনি আমার শাশুড়ি। আর পেটের মাইয়া মারছে। আরে তখন হাসপাতাল টাশপাতাল চোখে দেখা ন। এখন নিজের মাইয়া আনছে। ও রে, হেতিরে ক আমার বাইচ্চা মাইয়া হইলেও তো সন্তান আছিল। এখন নিজের মাইয়া কিললাই আইনছে আর খালাম্মার গো হসপিটালে।
অবাক আমরা। এত বছর পরে আমরা শুনলাম কোনো একসময় একটা মৃত কন্যা সন্তান আপনার কোলে এসেছিল। জন্মের আগেই মেয়েটার জন্য কবর খুঁড়েছিল এরাই! সেদিন দুচোখ ভরে আমাদের নিজেদের প্রতি ঘৃণার কান্না এল। একটা মানুষ আমাদের ঘরের মানুষ। আমাদের ঘরে আছে এত বছর ধরে অথচ তার সম্পর্কে কত কম জানি আমরা। সেদিন আমাদের চালাকি সান্ত্বনা শ্মশানেই মরল। কোনো ভাষা খুঁজে পাইনি আপনাকে শান্ত করার। সান্ত্বনা দেওয়ার।
তার দুই দিন পর নতুন করে জাগা কঠিন কষ্টটা আপনার সরল মন সহজেই ভুলে গেল। অতঃপর দিন গড়ায়। আপনি আবারও ধুতে লাগলেন আমাদের ঘরের পাতিলের তলা। কাকভোরে বেলতে লাগলেন রুটি। ভাগ-বণ্টন করে রাখতে লাগলেন মাছ-মাংসের খণ্ড, যার যেটা পছন্দ। পরে আরেকটা জিনিস যোগ হলো। নিয়ম করে একবেলা কাঁদতে বসতেন। মৃত সন্তান কিংবা নেমকহারাম স্বামীর জন্য না। আমাদের জন্য! আমরা ভাইবোন সবাই পড়ালেখার জন্য একে একে শহরে চলে গেছি। ঘরটা এত ফাঁকা। একা ঘরে আপনার খারাপ লাগে এই জন্য! আমাদের আম্মু-আব্বু সন্তানদের ছাড়া খুব একা এই জন্য। রাতেরবেলা গাছের ডাব সব চোরের পেটে যায় এই জন্য! চোরও এমন—আপনাকে চিনত। পাড়ার পরিচিত বখাটে ছেলেপেলে তো।
গভীর রাতে ডাব খাওয়া শেষে ইচ্ছে করে একটা ডাব মারত টিনের চালে। এরপর শুরু হতো আপনার চিল্লানি। চোরের গুষ্টি চোর। ডাব জীবনে দেখস ন! পাড়াতে এত গাছ থাইকতে আঙ্গ গাছের দিকে কিললাই তোরগো নজর। এই বলে রাতের অন্ধকারে ভয়ের পরোয়া না করে কলাপসিবল গেটের দরজা খুলতে যেতেন। সঙ্গে সঙ্গে আম্মুর ঘুম ভেঙে যেত। খবরদার মাহফুজা দরজা খুলিস না। তুই চোর ধরতে বাইরে যাইস না। এগুনের ডাব হরানে খুইজ্যে চুরি করছে। খাই ধুর অই যাক! তোর জানের ডর নাই? তোরে ডাব একটার জন্য ছুরি মারি দিলে বাইছবি? অতঃপর আপনি চোর শায়েস্তা করতে না পারার দুঃখ নিয়ে নিজের ঘরে ফিরে আসেন। মুখে বুলি ধরেন—ধুরো খালাম্মা আন্নের এক্কানা হায়া মায়া দরদও নাই। মণি আপুরা বেড়াইতে আইলে কি খাইব! ও হ্যাঁ, আপনি আমাদের মণি আপু ডাকতেন।
এবার আবার এক পশলা কান্না। আপনি তো এমনই। পাড়াপড়শিরা প্রথম কয়দিন উঁকি দিত আমাদের ঘরে মেয়ে নির্যাতন চলছে কিনা এই আশঙ্কায়! কেননা সে এলাকায় আমরা আপনিসহ মুভ হয়ে নতুন এসেছিলাম। তারা তখন আমাদের সম্পর্কে খুব একটা জানত না। আসলে নির্যাতন নয়, ঘরে সন্তান কিংবা বোনের অপূর্ণতায় কাঁদছেন আপনি। কান্না ধারাবাহিক রূপ নেয়। একবার শুরু হলে ঘণ্টাব্যাপী। এই কান্না পরে কিছু মানুষ বিনোদন হিসেবে নেয়। এতে তাদের একটু হিংসাও ছিল। কারও ঘরে মানুষ দেখি রাখাই যায় না। আর আমাদের ঘরে বছরের পর বছর একই মানুষ চললা (কু পরামর্শ) দিলেও দেখি যায় না! মাঝে মধ্যে দুই-একটা মন্দ কথাও দূর দূরান্ত থেকে আসা কেউ কেউ আপনার কানে দিত। তারই জের ধরে একদিন আপনার চিল্লা চিল্লি উঠল। তুমুল।
খালাম্মা আপনি মিথ্যা কথা বলেন। আমি আপনার মেয়ের মতো না। তাইলে ঘরের দেয়ালে সবার ছবি আছে। আমার ছবি কই? আপনার খালাম্মা অবাক হয়ে গেল। এত বুদ্ধি আপনার কি করে হলো? খুশিও হলো। ওখানেই যে আপনার ঘাটতি ছিল। তারপর আপনার খালাম্মা রাগী স্বরে বলল, এই মাফুজা এখনই বাহির হ। রেডি হ! কানে ঝুমকা দে। একটু লিপিস্টিকও দে। তার এক সপ্তাহ পরে ঘরের দেয়ালে আমাদের ছবির সঙ্গে আপনার ছবিও যুক্ত হলো। কী যে খুশি হলেন আপনি! আশপাশের এমন কোনো মানুষ নাই তাদের ধরে এনে দেখান নাই। এর ইতিহাস বলেন নাই! আপনার সেই খুশি দেখে আমাদের খুশিতে বুক ভরে গেল। এত সুন্দর লাগছিল সে ছবিতে আপনাকে। আব্বু দুষ্টামি করে বলল, এর কেরে ইয়া! কোন সিনেমার নায়িকা রে! আমরা হেসেই লুটোপুটি। আপনি আমাদের আনন্দেরও উৎস ছিলেন। মাঝে মধ্যে এমন উল্টোপাল্টা কাজ করতেন। পুকুর ঘাটে আপনার পাশে সাপ আসলে বলতেন, এই সাপ যাহ। যাইলি? যেন সে কথা শোনে!
এভাবে ১৩ বছর।
তবু আপনি আমাদের বুয়া বুয়াই রয়ে গেলেন। আপনি যথেষ্ট সুন্দর রয়ে গেলেন। অবশ্য আপনি যে সুন্দর এটা সেদিন বুঝলাম। যেদিন এলাকার দুশ্চরিত্র এক লোক আপনার হাত ধরার চেষ্টা করেছিল। আর তার জন্য আপনি চিল্লাপাল্লা করে পাড়ায় আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন। এমন করেই দিন যায়। বছর যায়। এই সব বছরের প্রতিটা দিন আমাদের সংসার সামলে আপনি আপনার দ্বিতীয় বিয়ের চিন্তা বেমালুম ভুলে থাকলেন। আমাদেরই বা দোষ (!) কি। স্বামী সংসার নিয়ে আমরা এত ব্যস্ত আপনাকে নিয়ে ভাবার সুযোগ কই!
প্রিয় বুয়া, এত দিনের এতগুলো সময় আপনি কাটিয়ে দিলেন আমাদের ঘরে। এই দীর্ঘ সময়ে আপনার কাছে আমাদের কাজের এক লাখ ফরমাশ আর আবদার থাকলেও আপনার শুধুমাত্র একটা আবদার ছিল আপনাকে যাতে বুয়া না ডাকি। আমরা এতই হীন আর স্বার্থপর যে আপনার এতগুলো দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়েও আপনাকে আপা ডাকতে পারিনি। বরং উল্টো বুঝিয়েছি। বোঝেন না কেন বুয়া? বুয়া অর্থ বোন। আপনি নিজেও তো আপনার বড় বোনকে বুয়া ডাকেন। আরেকটু সম্প্রসারিত করে বলি, আমার দাদুর ভাইও আমার দাদুকে বুয়া ডাকত। আগের দিনে মানুষ বোনকে বুয়া ডাকত। আর অভ্যস্ত হয়ে পড়া কোনো ডাক সহজে বদলে ফেলাও যে যায় না।
আপনি তারপর আর কিচ্ছু বলেন না। আপনি আমাদের অনেক ভালোবাসেন। আপনার মৃত কন্যা সন্তান, অত্যাচারী স্বামী, পুরোনো সংসার কিংবা দ্বিতীয় সংসার গড়ার সব যত্ন আর ভালোবাসা ঢেলে ভালোবাসেন। আর আমরা সে সুযোগ লুফে নিয়ে দিনকে দিন বড় হয়ে নিজের সংসারে বিভোর হয়ে পড়ি দেশ থেকে দেশান্তর।
প্রিয় বুয়া, আজ ভোরে ঘুম ভাঙল একটা কথা মনে করে।
লেখিকাআপনাকে আমি অনেক মনে করি। আপনি এমন একজন যার কথা মৃত্যু মুখে হয়তো অজান্তেই বেরোবে। বুয়া পানি দেন! আপনি তো সেই একজন যিনি রাত তিনটায় ঘুম ভুলে বসে থাকতেন গ্রামের বাথরুমের দরজায়। আপনি আমাদের ভালোবাসতেন বোনের মতো। কখনো কখনো আমাদের সঙ্গে থাকতেন। গ্রামের বাড়িতে ঝিঁঝি পোকার ডাকে আমি ভয় পাই আপনি তা জানতেন। আমি ঘুম থেকে উঠলেই আপনি টের পেতেন। মণি আপু, ডরাইয়েন না। আই আছি বলে সাড়া দিতেন। আপনি যে এমনই।
আপনি এমন একজন মানুষ যার মন স্বচ্ছ পুকুর। এত বিশ্বাসী আপনি ঘরের সব অলংকার ব্যাংকের লকারে না রেখে আপনাকে রাখতে দিয়ে গেলেও আমাদের চলত।
প্রিয় বুয়া, এই চিঠি আপনাকে লিখছি। আপনাকে আমি আমার রাত দেড়টায় তটস্থ হয়ে শেখা, ঠোঁটস্থ, মুখস্থ পড়ার মতোই ভালোবাসি। আপনি আমাদের রাত জেগে পড়ার সেই সময়টা কোনো এক অজানা কারণে উপভোগ করতেন। রাত নামলেই বলতেন, মণি আপু আন্নের গো তো রাগ জাগি পড়বার কুঅভ্যাস! চা করি? এই চা করবার সময়ে আপনার কত আনন্দ। হইচই। যেন বিয়ে বাড়ি!
প্রিয় বুয়া, আপনাকে আমি মিস করি অপর প্রান্তের ফোনের আলাপে। যখন জিজ্ঞেস করেন মণি আপু, কলেজ থেকে এসে রান্না করতে আপনার কষ্ট হয়? ভোরে চা বানায় কে? যখন বলেন, মণি আপু বিদেশে বুয়া নাই? তখন! আপনি সত্যিই আমাদের আপন। কী রাঁধি, কী করি, কী খাই এসব সব সময় আপনাকে ফোনে বলি। মনে পড়ে আপনার কথা তাও বলি। শুধু বলি না ভালোও বাসি। প্রিয় বুয়া, আজ এখনই কথা দিলাম। আমি যা পারিনি ভবিষ্যতে আমার সন্তানকে শেখাব তা। ওরা আপনাকে খালামণি ডাকবে!
প্রিয় বুয়া, ১৩ শেষ হয়ে ১৪ বছর বাজছে সময়ের ঘড়িতে। এই তো সেদিন আমি আপনাকে আমি ফোনে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনার কি লাগবে? কী পছন্দ? আপনি ধুম করে বলে বসলেন, এক্কান পাথরওলা গলার হার...না না মণি আপু আর সব আছে শুধু আন্নে আইয়েন! আন্নের হাতের চাশনি খাই না বহুত দিন। আর সব আছে। আন্নে তো নাই দেশে। আন্নে আইয়েন।
বুয়া, আপনি কি জানেন আপনি এই পৃথিবীর কত দামি একটা কথা বলে ফেলেছেন? আপনি কি জানেন, এই কথা শোনার পরে আমার গায়ের পশম কাঁটা দিয়ে কান্না এসেছে?
প্রিয় বুয়া, আমি বাংলাদেশে যাব হয়তো বছর শেষেই, অথচ আনুষ্ঠানিকভাবে আপনি আমাদের ঘর থেকে বিদায় হয়েছেন গত মাসেই। আপনাকে বিদায় দিতে আমাদের সবার কষ্ট হচ্ছিল। তবু সান্ত্বনা হলো এই, আপনার এই যাওয়া নিজের একটা সংসারের জন্য। তবে আমাদের ১৪ বছরের মায়ার দিব্যি আপনার বর্তমান অভিভাবকের কাছে—আমাদের পারিবারিক সব অনুষ্ঠান, আনন্দ বেদনার আয়োজন, বছর শেষে স্কুলের ছুটিতে আমরা সব ভাইবোনেরা একত্র হলে আপনাকে যেন তখন নাইওর দেওয়া হয় আমাদের ঘরে। নাইলে কেমনে হবে?
আমাদের সবার ছবির সঙ্গে আপনার একটা ছবিও যে ঘরের দেয়ালে বাঁধানো আছে! প্রিয় বুয়া, ১৪ বছর আগের সেই ছোট্ট আমাদের ঘরটা আমরা কল্পনা করতে পারি না আপনি ছাড়া। আপনার এক কাপ চা করতে গিয়েই বিয়ে বাড়ির হইচই। সাপের সঙ্গে কথা। তুমুল চিল্লানি। আমাদের মাথা নষ্ট, এসব না থাকলে যে আমাদের ঘরকে আমাদের ঘর মনে হয় না।
*জাহান রিমা: ভ্যালেন্সিয়া কলেজ, ফ্লোরিডা, যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০১৭
অত্যাবশকীয় ১০০টি সাংসারিক টিপস !!
অত্যাবশকীয় ১০০টি সাংসারিক টিপস !!
জেনে রাখুন পরে কাজে লাগবে।
নিজে শিখুন ও অন্যকে জানার সুযোগ দিন।
১। অনেকদিন বন্ধ থাকা বা অব্যবহৃত ঘর খুললে একটা ভ্যাপসা গন্ধ বের হয়। দু-তিনটে দেশলাই কাঠি জ্বালালে দু-তিন মিনিটের মধ্যে ঘর থেকে গন্ধ চলে যাবে।
২। চিনির পাত্রের মধ্যে দু-চারটি লবঙ্গ দিয়ে রাখলে পিঁপড়ে ঢুকবে না।
৩। চশমা ঝকঝকে পরিষ্কার রাখতে হলে এক ফোঁটা ভিনিগার দিয়ে কাঁচ পালিশ করুন।
৪। কাঠের আসবাবপত্র ঠাণ্ডা চা-পাতা ফোটানো জল দিয়ে পালিশ করুন। ঝকঝকে হয়ে উঠবে।
৫। ফ্রিজের গায়ে দাগ ধরে গেলে স্পঞ্জে টুথপেস্ট লাগিয়ে ঘষুন। দাগ উঠে যাবে।
৬। ফ্লানেলের টুকরো গ্লিসারিনে ভিজিয়ে দাগধরা জানালার কাঁচে ঘষুন। কাঁচ ঝকঝক করবে। কাঠ বা স্টিলের টেবিলে ঘষুন। সেখানকার দাগ উঠবে।
৭। জানালা, দরজার কাঁচ ঝকঝকে করে তুলতে মিহি চক গুঁড়োর সঙ্গে জল আর স্পিরিট অথবা কেরোসিন মিশিয়ে কিছুক্ষণ কাঁচের ওপর মাখিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে খবরের কাগজ দিয়ে মুছে নিন।
৮। ডিটারজেন্টের সঙ্গে একটা লেবুর রস ও এক চামচ ফিনাইল মিশিয়ে বাথরুমের টাইলস ঘষে দেখুন, কেমন ঝকঝক করে।
৯। হাতব্যাগের ধাতব অংশগুলিতে ন্যাচারাল কালারের নেলপালিশের এক প্রস্থ প্রলেপ দিয়ে রাখুন। সহজে বিবর্ণ হবে না।
১০। ছোট্ট একটুকরো ফ্লানেল বা কম্বলের কাপড়ে পাতিলেবুর রস মাখিয়ে চামড়ার ব্যাগ বা স্যুটকেশে ঘষলে। চামড়ার ঔজ্বল্ল্য বাড়বে।
১১। ঘরে চড়ুই পাখি বাসা বাঁধতে চায়। যদি চড়ুই পাখি তাড়াতে চান তাহলে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে দু-চার টুকরো কর্পূর জ্বালিয়ে দিন। আর ঘরমুখো হবে না।
১২। গ্যাসস্টোভের বার্নারে ময়লা ঢুকে গেলে বাড়িতে পরিষ্কার করার সহজ উপায় হল অ্যালুমিনিয়াম স্টিল বা লোহার বালতিতে ফুটন্ত জল ঢেলে তাতে দু টেবিল চামচ ড্রেনেক্স (Drainex) পাউডার গুলে বার্নার দুটি তার মধ্যে দু ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখুন। জলে ঝাঁপিয়ে ঝাঁপিয়ে ধুয়ে নিন।
১৩। গরম পোশাক বা সিল্কের পোশাক ধোওয়ার পর যদি ইউক্যালিপটাস তেল মেশানো জলে ডুবিয়ে নেন তাহলে পোকায় কাটার ভয় থাকবে না। পোশাকের ঔজ্বল্ল্য বাড়বে। এক বালতি জলে তেলের পরিমাণ হবে দু-টেবিল চামচ।
১৪। উলের পোশাক ধোওয়ার পর এক বালতি জলে আধ চামচ গ্লিসারিন দিয়ে তাতে ডুবিয়ে নিন। পোশাকের নরম ভাব বজায় থাকবে।
১৫। বাচ্চাদের জামাকাপড় বা কাঁথায় যদি তার বমির দুর্গন্ধ থেকে যায়, তবে কাচার পর জলে আধ চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে তাতে জামাকাপড় ডুবিয়ে নেবেন। দুর্গন্ধ দূর হবে।
১৬। ইস্ত্রি করার সময় কাপড়ে যে জল ছেটান তাতে কয়েক ফোঁটা পারফিউম ফেলে দিন। ইস্ত্রি হওয়া গোটা কাপড়টি সুগন্ধ ধরে রাখবে।
১৭। সুগন্ধির শিশি সবসময় তুলো বা কাপড়ে জড়িয়ে রাখবেন। তাতে সুগন্ধি ঢের বেশি দিন টিকবে।
১৮। ফ্লাক্সের ভেতরে অংশ ভালভাবে ধুতে হলে ফ্লাক্সে গরম জল ভর্তি করুন। তাতে কয়েক টুকরো কাগজ ফেলে দিন। ঘণ্টাখানেক পর ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিয়ে জল ফেলে দিন। ভেতরের যাবতীয় নোংরা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
১৯। অনেক সময় ভ্যাকুয়াম ফ্লাক্স দীর্ঘ ব্যবহারের জন্য দুর্গন্ধ হয়। একটি ডিমের খোলা ভেঙে ফ্লাক্সের মধ্যে ফেলুন।
২০। কিছু কিছু অলংকারের তীক্ষ্ণ বা ধারালো প্রান্তের খোঁচায় পোশাক ছিঁড়ে যায় বা সুতো উঠে যায়। সেইসব ধারালো অংশে ন্যাচারাল নেলপালিশ লাগিয়ে দিন। খোঁচা লাগবে না।
২১। কাঠের ওপর বাচ্চারা আঁকিবুঁকি কাটলে তা তুলতে সিগারেটের ছাই খুব ভাল। সিগারেটের ছাই পাতলা কাপড়ে নিয়ে ঘষে ঘষে তোলা যাবে। একই কাজ হবে কেরোসিন দিয়ে।
২২। সিল্কের শাড়ি বা পোশাকে মাড় দিতে হলে, মাড়ের সঙ্গে একটু পাতলা আঠা গুলে নেবেন। পোশাক শুকিয়ে খটখটে করে ইস্ত্রি করবেন। সিল্ক ঝকঝক করবে।
২৩। পঞ্চাশ গ্রাম সাবুদানা জলে ফুটিয়ে স্বচ্ছ করে ছেঁকে নিন। ঠাণ্ডা করে তাতে দু-টেবিল চামচ সাদা ভিনিগার মেশান। এবার এই মিশ্রণটি একটি খালি স্প্রে বটলে ভরে রাখুন। এই তরল ছিটিয়ে ছিটিয়ে ইস্ত্রি করলে তা মাড়ের কাজ করবে। পোশাক নিভাঁজ হবে।
২৪। হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে বর্ষার জুতো, ছোটখাটো জামাকাপড় শুকিয়ে নেওয়া যায়।
২৫। বাচ্চাকে স্নান করানোর আগে নীচে তোয়ালে পেতে নেবেন। বাচ্চা হড়কে যাবে না। বসেও আরাম পাবে।
২৬। স্টিলের বাসন থেকে কোম্পানির নাম লেখা স্টিকারটি তোলা এক ঝামেলা। পাত্রের স্টিকার লাগানো অংশের উল্টোপিঠটা তাতিয়ে নিন। স্টিকার এবার সহজে উঠে আসবে।
২৭। নতুন কেনা জিনিসপত্রের ওপর থেকে দামের লেবেল তুলতে খোঁচাখুঁচি করবেন না। লেবেলের ওপর একটু সেলোটেপ চেপে দিন। তারপর সেলোটেপের এক প্রান্ত ধরে টানলে লেবেলটি উঠে যাবে।
২৮। দেওয়ালে পেরেক গাঁথার আগে পেরেকগুলো যদি ফুটন্ত গরম জলে ডুবিয়ে নেন তাহলে হাতুড়ি মারার সময় দেওয়ালের প্লাস্টার খসবে না।
২৯। শক্ত করে মুখ বন্ধ একটি ছোট্ট শিশিতে কর্পূর পুরে যন্ত্রপাতির বাক্সে রেখে দিন। যন্ত্রপাতিতে মরচে পড়বে না।
৩০। বেশ কিছুদিনের জন্য কোথাও বেড়াতে যাচ্ছেন ফ্রিজ খালি করে? ডিফ্রস্ট করে তা রেখে গেলেন। কিন্তু এসে দেখলেন দুর্গন্ধ হয়ে গেছে। দুর্গন্ধ দূর করবার জন্য যাওয়ার আগে ফ্রিজে পাতি লেবু রেখে দিন। দুর্গন্ধ হবে না।
৩১। ফ্রিজের বদগন্ধ দূর করতে সর্ষেগুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন। একটা প্লেটে কিছুটা সর্ষেগুঁড়ো ঢেলে তাতে একটু জল দিয়ে রাতভর ফ্রিজে রাখুন এবং ফ্রিজ খোলাই রাখুন। পরের দিন সকালে দেখবেন সব গন্ধ উধাও।
৩২। ব্যবহারের পর তেল বা পানীয়র টেট্রাপ্যাক ফেলে দেবেন না। কেটে ডিপ ফ্রিজে আইস ট্রেতে পেতে দিন। মাছ মাংসের প্যাকেট আটকে যাবে না।
৩৩। প্রেসার কুকারের গ্যাসকেট মাঝে মাঝে ফ্রিজে পুরে রাখবেন। দীর্ঘদিন টিকবে।
৩৪। টর্চের ফেলে দেওয়া ব্যাটারি কিন্তু কোয়ার্টিজ ঘড়িতে এবং রেডিওতে আরও মাস খানেক চলবে।
৩৫। বাড়িতে আঠা ফুরিয়ে গেছে। খামে স্ট্যাম্প লাগাবেন। ন্যাচারাল কালার নেলপালিশ ব্যবহার করুন।
৩৬। সেলোটেপের মুখ খুঁজে পাচ্ছেন না? মিনিট দশেক ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখে দিন। সেলোটেপের রিলটা খুলে আসবে।
৩৭। খামের ওপর ঠিকানা লিখে একটু মোমবাতি ঘষে দেবেন। জল পড়ে কালি থেবড়ে ঠিকানা অস্পষ্ট হয়ে যাবে না।
৩৮। টেবিল বা ক্যাবিনেটের ড্রয়ার অনেক সময় আটকে যায়। স্বচ্ছন্দে খোলা বা বন্ধ করা যায় না। ড্রয়ারের ধারে মোম ঘষে রাখুন। সহজে আটকাবে না।
৩৯। ব্যবহারের পর বাইসাইকেলের টায়ার ভিজে কাপড় দিয়ে মুছে রাখুন। সহজে কাটবে না।
৪০। নখের কোন ভেঙে গেছে। কিন্তু এমারি বোর্ড নেই। একটা দেশলাই কাঠি নিয়ে বারুদের দিকটা ভাঙা জায়গায় ঘষুন। নিমেষে নখ সমান হয়ে যাবে।
৪১। নেলপালিশ শুকিয়ে জমে গেলে ইউক্যালিপটাস তেল দিন। গলে নরম হবে। তবে নেলপালিশ ফ্রিজে রাখলে সহজে শুকোবে না।
৪২। এক লিটার জলে দু’চার চামচ ডিটারজেণ্ট গুলে ঝাঁকিয়ে দিন। এবার স্প্রেগান বা পিচকিরিতে ভরে ঘরের আনাচে কানাচে যেখান আরশোলার উপদ্রব বেশি সেসব জায়গায় স্প্রে করে দিন। আরশোলা মরবে।
৪৩। মোমবাতি জ্বালানোর আগে যদি বার্নিশ লিগিয়ে নিতে পারেন তো সাশ্রয় হবে। সহজে মোম গলবে না।
৪৪। ক্যাণ্ডেল হোল্ডারে মোমবাতি বসানোর আগে একটু তেল মাখিয়ে নেবেন। ফুরিয়ে গেলে জমা মোম তুলতে অসুবিধে হবে না।
৪৫। বোতলের ছিপি খুব শক্ত হয়ে আটকে গেলে, একটা রুমাল গরম জলে ভিজিয়ে নিংড়ে বোতলের ছিপির নীচে জড়িয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পরে ছিপিটি আলগা হয়ে আসবে।
৪৬। যাদের সিলিণ্ডার ক্যারিয়ার নেই তারা থার্মোকলের টুকরোর ওপর গ্যাস সিলিণ্ডার রাখুন। গ্যাস সিলিণ্ডারেও যেমন মরচে পড়বে না, মেঝেও মরচের দাগ থেকে রেহাই পাবে।
৪৭। গ্যাস ওভেন-এ রান্নার সময় কিছু উপচে পড়ে গেলে নুন ছিটিয়ে দিন। ওভেন ঠাণ্ডা হয়ে গেলে পোড়া জিনিসগুলো ভিজে স্পঞ্জ দিয়ে ভালভাবে মুছে দিন।
৪৮। রাতের দিকে বেসিনের পাইপের মুখে মাঝে মাঝে আধ কাপ মত ভিনিগার ঢেলে দেবেন। সকালে দু’মগ জল ঢেলে দিলেই বেসিনের পাইপ পরিষ্কার থাকবে।
৪৯। সিঙ্কের মুখ বন্ধ হয়ে গেলে নুন ফুটিয়ে সিঙ্কের মুখে ঢেলে দিন। পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৫০। বালতি বা ড্রাম ফুটো হয়ে গেলে ঐ জায়গা পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিয়ে ধুনো গুঁড়ো করে নারকোল তেল এবং সিঁদুর মিশিয়ে মিশ্রণটি লাগান, ফুটো বন্ধ হয়ে যাবে।
৫১। আস্ত ধনেতে পোকা ধরেছে বলে ফেলে দেবেন না। ঘণ্টা খানেক ভিজিয়ে রেখে মাটিতে ছড়িয়ে দিন। ধনে পাতার চাষ হবে আপনার বাগানে।
৫২। দই যদি নষ্ট হয়ে যায় তো ফেলে দেবেন না। বাড়িতে কারি পাতার গাছ থাকলে তার গোড়ায় মাটিতে দিন। এতে পাতার তেজ ও সুগন্ধ দুই-ই বাড়বে।
৫৩। অ্যাকোরিয়ামের জল ফেলে দেবেন না। গাছের গোড়ায় দিন। সার হিসেবে চমৎকার।
৫৪। কাজুবাদাম ব্যবহারের সময় খোসাটা ফেলে দেওয়া হয়। ঐ ফেলে দেওয়া খোসাই গোলাপ গাছের সেরা সার।
৫৫। ব্যবহৃত চা-পাতা ফেলে না দিয়ে ভাল করে রোদে শুকিয়ে নিন। এইভাবে ঐ চা’পাতা ধুনোর বদলে ব্যবহার করুন। শুকনো চা’পাতা পোড়ানো ধোঁয়ায় ঘরের সমস্ত মশা, মাছি পালিয়ে যাবে।
৫৬। মশা তাড়াবার একটা সহজ উপায় হল, কয়েক টুকরো কর্পূর আধকাপ জলে ভিজিয়ে খাটের নীচে রেখে দিন। তারপর নিশ্চিন্তে ঘুমান।
৫৭। কয়লা বা কাঠ-কয়লার আগুনে নিমপাতা পড়লে যে ধোঁয়া হবে তাতে সবংশে মশা পালাবে।
৫৮। লোডশেডিঙের সময় যদি হ্যারিকেন বা কাঁচ ঢাকা বাতিদান জ্বালান তবে তার ওপর দু-একটা ব্যবহৃত মশা মারার রিপেলেন্ট রেখে দেবেন। আলোর সঙ্গে সঙ্গে মশা তাড়ানোর কাজও হবে।
৫৯। প্রতিদিন নিশিন্দা ও নিমপাতার গুঁড়ো ধুনোর সঙ্গে ব্যবহার করলে মশার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
৬০। ঘরের মধ্যে মশার উৎপাত কমাতে চাইলে, ঘরের বৈদ্যুতিক আলোটি হলুদ সেলোফেনে জড়িয়ে দিন। ফলে হলুদ আলো হবে। দেখবেন মশা কমে গেছে, কারণ মশা হলুদ আলো থেকে দূরে থাকতে চায়।
৬১। মাছি তাড়াতে পুদিনা পাতা ব্যবহার করুন। ছোট গ্লাসে একটু জল নিয়ে তাতে ৫/৬ গাছি পুদিনা রেখে দিন খাবার টেবিলে। ৩ দিন অন্তর জল বদলে দেবেন। জল অনুকূল হলে কিছুদিনের মধ্যে পুদিনা চারাও গজিয়ে যাবে গ্লাসে।
৬২। নিমপাতা ভেজানো বা সেদ্ধ জলে ঘর মুছুন। পোকা-মাকড়ের উপদ্রব কমবে। নিমপাতা তোশক বা গদির তলায় রাখুন পোকামাকড় হবে না।
৬৩। অনেক সময় ঘরে বা রান্নাঘরে সাপ ঢুকে যায়। কিছুটা রসুন বেটে কাপড়ে বেঁধে ঘরের কোণে রেখে দিলে ঘরের ভিতর সাপ ঢুকবে না।
৬৪। নিমপাতা পচা সার গাছে পোকা লাগতে দেয় না।
৬৫। বাচ্চাদের ঘরে মাছি, পিঁপড়ে হয়। যদি নুন ছিটিয়ে ঘর মোছা যায়, পিঁপড়ে মাছি কম হবে।
৬৬। আটা, ময়দা, ডাল পোকার হাত থেকে বাঁচতে হলে একমুঠো নিমপাতা শুকিয়ে উপরে ছড়িয়ে দিন, পোকা হবে না।
৬৭। সোনার গয়না দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করলে ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে যায়। ব্যবহার করার পর সিঁদুর মাখিয়ে রাখবেন। চকচক করবে। কুমড়োর রস দিয়েও গয়না পরিষ্কার করা যায়।
৬৮। বিয়ে বাড়িতে বা পার্টিতে যেদিন যাবেন, সোনার গয়নাগুলো কাঁচা হলুদ থেঁতো করে বা হলুদ গুঁড়ো জলে গুলে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে ভাল করে মুছে নেবেন। উজ্জ্বলতা বাড়বে।
৬৯। আপনার সোনা-রূপোর গয়না টুথপেস্ট দিয়ে ঘষে নিন। জল দেওয়ার দরকার নেই। শুকনো কাপড়ে পেস্ট মুছে ফেলুন। দেখুন ঝকমকিয়ে উঠবে আপনার গয়না।
৭০। রূপোর জিনিস জলের সঙ্গে নুন আর রিঠা দিয়ে মিনিট পনেরো ফোটালে রূপোর স্বাভাবিক রং ফিরে আসে।
৭১। পাথরের গয়না টুথপেস্ট ঘষে পরিষ্কার করুন। নতুনের মত ঝলমল করবে।
৭২। পেতলের বাসন ঝকঝক করে তুলতে ক’ফোঁটা সেলাই মেশিনের তেলে হলুদ গুঁড়ো মেশান। ঐ তেলে ঘষে তুলুন বাসন। দেখবেন নতুনের মত দেখাচ্ছে।
৭৩। ব্রাসোর সঙ্গে সামান্য পাতিলেবুর রস মিশিয়ে ঘসুণ, কাঁসার জিনিস সোনার মতো ঝকঝক করবে।
৭৪। হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা সরষের তেল দিয়ে পেতলের বাসন ঘষলে চকচক করবে।
৭৫। রূপোর বাসন, কাঁটা-চামচ বা গয়নাটি তেঁতুল গোলা জলে ফুটিয়ে নিন। ঘষা-মাজা করতে হবে না। ফোটালেই ঝকঝক করবে।
৭৬। এনামেলের বাসন থেকে দাগ তুলতে নুন আর ভিনিগারের মিশ্রণ ব্যবহার করুন।
৭৭। বোন চায়নার বাসনে দাগ ধরে গেলে নেলপালিশ রিমুভার ব্যবহার করতে পারেন। দাগ উঠে যাবে।
৭৮। চাল ধোয়া জলে স্টীল ও কাঁচের বাসন কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে নিলে বাসনগুলো ঝকঝক করবে।
৭৯। পিতলের বা কাঁসার বাসন দীর্ঘদিন ব্যবহার না করার ফলে দাগ ধরে যায়। মাথার চুল ও সরষের তেল সহযোগে মাজুন, দেখবেন ঝকঝক হয়ে উঠবে।
৮০। রান্না পুড়ে পাত্রের তলায় এঁটে গেছে। পাত্রটিকে নুনজলে ভর্তি করুন। তারপর আঁচে বসান। জল ফুটতে শুরু করলেই পোড়া অংশ আলগা হয়ে উঠে যাবে।
৮১। রান্নার সময় হাতে হলুদেড় দাগ হলে, আলুর খোসা ছাড়িয়ে হাতে ঘষে, হাত ধুয়ে নিলে আর হলুদের দাগ থাকবে না।
৮২। টিন থেকে মরচে তুলতে হলে আলু কেটে বাসন ধোয়ার গুঁড়োয় ডুবিয়ে সেটা দিয়ে ঘষলেই মরচে উঠে যাবে।
৮৩। মরচের দাগ তুলতে হলে ১ কাপ চাল ২ লিটার জলে ফুটিয়ে সারারাত রাখতে হবে। পরের দিন সকালে জলটা ছেঁকে নিয়ে সেই জলে মরচে ধরা জায়গাটা ধুলে ফেলতে হবে। যদি এক দফায় না হয়, আবার একই নিয়মে ধুতে হবে।
৮৪। কফির যদি স্বাদ আরো বাড়াতে চান তাহলে সামান্য টেবিল-সল্ট মিশিয়ে নিন।
৮৫। তুলসীপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখুন। চা তৈরীর সময় দু-চিমটি লিকারে দিয়ে দেবেন। আরো ভাল স্বাদ আসবে। নানা রোগও আটকাবে।
৮৬। বাড়িতে ঘি তৈরি করার জন্য দুধের সরটা বাটিতে ১/২ চামচ টক দই দিয়ে তার উপর রাখতে হবে। সরটা এমনভাবে রাখতে হবে যাতে পুরো দইটা ঢেকে যায়। এই ভাবে দই এর সাথে সর জমলে সর জমা যে গন্ধ হয় সেটা হবে না।
৮৭। এক টুকরো সন্ধক লবণ ঘি এর শিশির মধ্যে রেখে দিন। এতে ঘি বেশি দিন টাটকা থাকবে, স্বাদেরও পরিবর্তন হবে না।
৮৮। ঘিয়ের গন্ধ বজায় রাখতে হলে ঘি রাখার শিশিতে এক টুকরো আখের গুড় রেখে দিন।
৮৯। ভোজ্য তেলে ৮/১০ টা আস্ত গোলমরিচ ফেলে দিন। তেল দীর্ঘদিন অব্যবহৃত হলেও ভাল থাকবে।
৯০। দই পাতবার সময় দুধের সঙ্গে ১ চামচ কর্ণফ্লাওয়ার গুলে দেবেন। দই অনেক বেশি ঘন হবে।
৯১। গরু বা মোষের দুধ ঠিক সময় মতো গরম না করলে দুধ কেটে যাবার ভয় থাকে। দুধের মধ্যে দু-ফোঁটা সরষের তেল দিয়ে রাখলে দুধ যখনই ফোটান হোক না কেন দুধ কাটবে না।
৯২। দীর্ঘদিন বাইরে পড়ে আছে দুধ। ভয় হচ্ছে আঁচে বসালেই কেটে যাবে। আঁচে বসানোর আগে দুধে ১ চিমটি সোভা-বাই-কার্ব মিশিয়ে নিন। দুধ কাটবে না।
৯৩। দুধ পড়ে গেলে বা দুধ থেকে পোড়া গন্ধ দূর করতে হলে তাতে পান পাতা ফেলে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। পোড়া গন্ধ কেটে যাবে।
৯৪। পিঠে, পাটিসাপ্টা, মালপো প্রভৃতি তৈরি করার সময় গোলায় একটু আটা মিশিয়ে দিলে পিঠে ঠিকভাবে তৈরি হয়।
৯৫। চালের গুঁড়োর পিঠে করলে সাধারণত শক্ত হয়। পিঠে করার আগে যদি চালের গুঁড়োতে কিছুটা খই মাখিয়ে নেওয়া হয় তবে পিঠে নরম হয় এবং খেতেও ভাল লাগে।
৯৬। কেক, পুডিঙের ওপর বাদাম, কাজু বা কিশমিশ সাজিয়ে দেবার আগে, ধুয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে পড়ে খসে যাবার ভয় থাকে না।
৯৭। কাস্টার্ড তৈরীর সময় কাপ প্রতি দুধে দু-তিন চামচ মিল্ক পাউডার গুলে নেন তবে চমৎকার আস্বাদ আসবে। তৈরীর পর মোটা চিনির দানা যদি ছড়িয়ে দেন, কাস্টার্ডে সর পড়বে না।
৯৮। ছানা কাটানোর জন্য লেবুর রসের বদলে ফুটন্ত দুধে ১ চামচ দই ফেলে দিন। ছানা নরম হবে।
৯৯। বিস্কুটের টিনে এক টুকরো ব্লটিং পেপার রেখে দিন। বিস্কুট মিইয়ে যাবে না।
১০০। পোড়ামাটির জিনিসপত্র পরিষ্কার রাখতে হলে ওগুলোর ওপর ন্যাচারাল রঙের নেলপালিশ লাগিয়ে দিন। রং অক্ষত থাকবে আর নোংরা হবে না।
সবাইকে জানাতে শেয়ার করুন৷
(সংগৃহীত)
ছবিঃ প্রতীকি