শনিবার, ১৪ মে, ২০১৬

বিজোড় কাব্য ৷

       এটাই কী জীবন?
                        এটাই কী বাস্তব?

বাস্তব এতোটা কঠিন হতে পারে ? কারও কাছে ভালবাসাটা খেলনার হয়, আবার কারও কাছে তার ভবিষ্যৎ। কারও কাছে ভালবাসা মানে ফুর্তি, আবার কারও কাছে তার প্রিয় মুখটিকে নিয়ে সারাজীবন সুখে শান্তিতে থাকার ইচ্ছা।

 আমি লিখতে লিখতে কিছুটা আবেগী হয়ে পড়লাম। কিন্তু আবেগী হওয়াটা ঠিক নয়, আবেগ জিনিসটা খুব খারাপ। আজকাল আবেগ নামের এই বস্তুটা আমার কাছে আর ভালো লাগে না বা লাগছে না। আবেগ আমাদের মনের ভেতরে অনেক ধরণের অস্থিরতা সৃষ্টি করে। এই আবেগই আমাদের ধবংস করে দেয়। আমাদের সবার মধ্যে কম - বেশি আবেগ থাকে। কাউকে মনে করে কাঁদা মানে এই না যে সেই মানুষটির জন্য আমরা কাঁদি। আমরা মাঝে মাঝে সেই প্রিয় মানুষটির আসল রূপ বুঝতে পেরে এবং তার প্রতিটা মুহূর্তের প্রতারণাগুলো যখন  Flash Back হয়ে চোখে ভেসে উঠে তখন নিজের চোখ দিয়ে এমনিতেই পানি পরতে থাকে।

 নিজেকে নিজের কাছে অনেক অসহায় লাগে কিন্তু আমি ভাবি , আমি তখন কতটা বোকা ছিলাম সেটার জন্যই এখন কান্না করি। আমি জীবনে যে ভুলগুলো নিজের অজান্তে করে ফেলেছি সেই ভুলগুলোর জন্য কান্না করি। সত্যিই সত্যিই সেই সময়টার জন্য নিজেকে আজকে অনেক বেশি অসহায় লাগে। তাই আজ থেকে আমি আমার সব আবেগকে বন্ধ করে দিলাম। 
---------*******---------------------------------------কানাগলি???
 



রবিবার, ৮ মে, ২০১৬

"অপ্রকাশিত চিঠি"

'জড়ায়ে মায়ের গাল শিশু কহে অাসি,
মা তোমারে কত ভালোবাসি—
কত ভালোবাস ধন?
জননী শুধায় ৷ 'এত বলি দুই হাত প্রসারি দেখায়'৷ তুমি মা অামারে ভালবাস কতখানি?
মা বলেন মাপ তার অামি নাহি জানি" ৷
যতখানি ধরে, তোমার মায়ের বুকে ৷
        _কামিনী রায় ৷

মাগো অাজ অনেক গুলি বছর পর যখন বুঝতে পারলাম ভালোবাসা কাকে বলে,,, ঠিক সেই সময় তোমার নামের অর্থ অাবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছি ! এই লেখাটা যখন অামি লিখছি, তখন তুমি অামার পুরো অস্তিত্ব জুড়ে ৷

অামি জানি, অামি কোনদিন মুখ ফুটে প্রকাশ করতে পারবো না অামি তোমাকে কত ভালবাসি ৷ হয়তো অামার এই লেখাটা তোমার চোখেও কোনদিন পরবে না ৷ তবে অামার অাজ খুব চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে, করছে মা তোমাকে সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে যদি কিছু অবশিষ্ট থাকে সেটুকুই হবে অামার ভবিষ্যৎ জীবনের সন্চ্ঞয় ৷ অামার এই জীবনে তোমার দান অপরিসীম ৷ তোমার ত্যাগ ও ধৈর্য্য শক্তি অামার জীবনের অাদর্শ ৷

প্রতিটি ছেলের কাছে তার পিতাই অাদর্শ হন,,কিন্তু অামার কাছে তুমিই অাদর্শ ,,,তুমিই হচ্ছো অামার প্রিয় ব্যক্তিত্ব ৷ অাজ মনে হচ্ছে অামি অনেক বড় হয়ে গেছি,, কত বড় বড় কথা বলতে শিখে গেছি ,,, কিন্তু বিশ্বাস কর মা অামি অাজও তোমার স্নেহ পাওয়ার জন্য সেই ছোট্টটি হয়ে রয়েছি ৷ মা অামি কাঁদতে জানি না ৷ যেদিন তোমাকে ছেড়ে অামি যান্ত্রিক জীবনে পা রেখেছি সেদিন থেকেই, অামি কাঁদতে ভুলে গেছি ৷ কিন্তু মাগো মাঝ রাতে যখন ঘুম ভেঙ্গে অনুভব করতে পারি অামি তুমি ছাড়া তখন বুক ফেটে কান্না অাসে ৷ তুমি অামার সব পছন্দ অপছন্দ গুলো মুখস্ত রাখ ৷ অামি যখন বাসায় থাকি অামার রুমের দরজা টা বাইরে থেকে লাগিয়ে দাও যাতে করে অামি ডাকলেই তুমি চলে অাসতে পার ৷ অামার ঘুমের সময় অামার গায়ের চাদর ধরে টানলে অামি প্রচন্ড রেগে যাই ,, তাই তুমি অামার রুমের দিকে সতর্ক খেয়াল রাখো ৷ মাগো তোমার মত এত গভীর নিঃস্বার্থ ভাবে অমাকে কখনো কেউ ভালোবাসেনি অার কোনদিন বাসবেও না ৷

মা অামি অনেক অকৃতজ্ঞ ,,, তাই তোমার পাশে থেকে তোমার একটু সেবা করতে পারলাম না ৷ হয়তো বা কোনদিন পারবোও না ৷ মা তুমি তো ক্ষমা অার স্নেহের অাঁধার ৷ না'হয় তোমার সেই গুনে অামাকেও ক্ষমা করে দিও ৷

                                ইতি,
               তোমার অকৃতজ্ঞ, স্বার্থপর ছেলে ৷