শনিবার, ১৪ মে, ২০১৬
বিজোড় কাব্য ৷
রবিবার, ৮ মে, ২০১৬
"অপ্রকাশিত চিঠি"
'জড়ায়ে মায়ের গাল শিশু কহে অাসি,
মা তোমারে কত ভালোবাসি—
কত ভালোবাস ধন?
জননী শুধায় ৷ 'এত বলি দুই হাত প্রসারি দেখায়'৷ তুমি মা অামারে ভালবাস কতখানি?
মা বলেন মাপ তার অামি নাহি জানি" ৷
যতখানি ধরে, তোমার মায়ের বুকে ৷
_কামিনী রায় ৷
মাগো অাজ অনেক গুলি বছর পর যখন বুঝতে পারলাম ভালোবাসা কাকে বলে,,, ঠিক সেই সময় তোমার নামের অর্থ অাবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছি ! এই লেখাটা যখন অামি লিখছি, তখন তুমি অামার পুরো অস্তিত্ব জুড়ে ৷
অামি জানি, অামি কোনদিন মুখ ফুটে প্রকাশ করতে পারবো না অামি তোমাকে কত ভালবাসি ৷ হয়তো অামার এই লেখাটা তোমার চোখেও কোনদিন পরবে না ৷ তবে অামার অাজ খুব চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে, করছে মা তোমাকে সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে যদি কিছু অবশিষ্ট থাকে সেটুকুই হবে অামার ভবিষ্যৎ জীবনের সন্চ্ঞয় ৷ অামার এই জীবনে তোমার দান অপরিসীম ৷ তোমার ত্যাগ ও ধৈর্য্য শক্তি অামার জীবনের অাদর্শ ৷
প্রতিটি ছেলের কাছে তার পিতাই অাদর্শ হন,,কিন্তু অামার কাছে তুমিই অাদর্শ ,,,তুমিই হচ্ছো অামার প্রিয় ব্যক্তিত্ব ৷ অাজ মনে হচ্ছে অামি অনেক বড় হয়ে গেছি,, কত বড় বড় কথা বলতে শিখে গেছি ,,, কিন্তু বিশ্বাস কর মা অামি অাজও তোমার স্নেহ পাওয়ার জন্য সেই ছোট্টটি হয়ে রয়েছি ৷ মা অামি কাঁদতে জানি না ৷ যেদিন তোমাকে ছেড়ে অামি যান্ত্রিক জীবনে পা রেখেছি সেদিন থেকেই, অামি কাঁদতে ভুলে গেছি ৷ কিন্তু মাগো মাঝ রাতে যখন ঘুম ভেঙ্গে অনুভব করতে পারি অামি তুমি ছাড়া তখন বুক ফেটে কান্না অাসে ৷ তুমি অামার সব পছন্দ অপছন্দ গুলো মুখস্ত রাখ ৷ অামি যখন বাসায় থাকি অামার রুমের দরজা টা বাইরে থেকে লাগিয়ে দাও যাতে করে অামি ডাকলেই তুমি চলে অাসতে পার ৷ অামার ঘুমের সময় অামার গায়ের চাদর ধরে টানলে অামি প্রচন্ড রেগে যাই ,, তাই তুমি অামার রুমের দিকে সতর্ক খেয়াল রাখো ৷ মাগো তোমার মত এত গভীর নিঃস্বার্থ ভাবে অমাকে কখনো কেউ ভালোবাসেনি অার কোনদিন বাসবেও না ৷
মা অামি অনেক অকৃতজ্ঞ ,,, তাই তোমার পাশে থেকে তোমার একটু সেবা করতে পারলাম না ৷ হয়তো বা কোনদিন পারবোও না ৷ মা তুমি তো ক্ষমা অার স্নেহের অাঁধার ৷ না'হয় তোমার সেই গুনে অামাকেও ক্ষমা করে দিও ৷
ইতি,
তোমার অকৃতজ্ঞ, স্বার্থপর ছেলে ৷