শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৬

একটি হারানো প্রেম !

তুমি যখন ফুল কুড়াতে যেতে
পুকুর-পাড়ে বকুল গাছের তলে,

আমি তোমায় ঝরা বকুল সেজে
টেনে নিতেম পুকুরভরা জলে।

তুমি বুঝতে পারতে না সেই খেলা,
বকুলবেশে ডাক দিয়েছে কে যে!

তখন তুমি সাঁতারও জানতে না।
তোমার প্রণয় ভিক্ষা পাব ভেবে,
আমি তোমায় দীক্ষা দিয়েছিলাম।

তুমি এখন নিজেই বকুল গাছ,
তৈরি হচ্ছো ফুল ফোটাবে বলে।
তাইতো তুমি আগের মতন আর
আসো না ওই বকুল গাছের তলে।

আসবে কেন? আসবে কেন তুমি?
ফুল কখনও ফুল কুড়াতে আসে?
বকুল এখন তোমার পায়ে লোটে,
হাজার পুরুষ তোমায় ভালোবাসে।

বকুল গাছটি অমনি আছে আজও,
পুকুরটিও রয়েছে সেইখানে−।
তুমিই শুধু নেই সকালের মতো
বদলে গেছে তোমার সকল মানে।

তুমি এখন সন্তরণে পটু−,
আমি ভুলে গেছি সাঁতার কাটা।
বকুল ফুলের গন্ধ এখন কটু,
আমার পথে পাথর এবং কাঁটা।

বকুল ভালোবাসবে কেন তুমি?
ছোট্ট পুকুর এখন অথৈ সাগর,
বকুলতলা স্নৃতির বেলাভুমি।

শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৬

"নারী"

নারী - ডার্ক এভিল

আমি প্রসুতি, আমি জায়া, আমি কারবালা
আমি কোমল,আমি কঠোর,
কে বলে আমি অবলা?
আমি চঞ্চলা চপলা, আমিই অনুগত দুহিতা
আমি সরোজ আলোকিনী পিতার গৌরব তাজ।
দুঃখিনী মাতার অশ্রুসজল নয়নে
আমিই ঝড়াই মুক্তদানা!
আম পিতার আশির্বাদ, এক সমুদ্র আশা
কখনো আমার কাঁধে বহন করি হতভাগার নিরাশা।
আমি প্রেমময়ী পুরুষের ছায়া!
আমি ভামিনী, সীতা, ধ্রুপদী নিজ গৃহস্তে,
করিনা কর্নপাত,দেখিনা দুঃখলীলা,
নির্ভয়ে যাতনা করি বরন, ছাইস্তুপে ঢাকি জ্বলন্ত অনল।
আমি শশধর হয়ে প্রভা ছড়াই আলয়,
ক্ষীন আলোয় প্রসস্থ্য করি স্বপ্নকুল।
আমি নরের বিশ্বাস, আমিই তার শক্তি
আমার ভক্তিতেই পরজনমে তার মুক্তি।
আমি শ্বাশত,আমি চিতন্তন করুনাময়ী পত্নী
পরশ্রীকাতর নরের ও আমি করি ক্ষমা!
আমি জন্মদাত্রী,আমি মহীরূহ
আমার শীতল ছায়ায় রোপন করি ভবিতব্য প্রজন্ম।
অভিলাষ বিসর্জত সন্তানের তরে
দ্যুলোক-ভূলোক ভুলে,
আমিই তার সর্বজ্ঞ্যানে ঢালি পানি।
আমি স্নেহময়ী, কখনো কঠোরতায় অগ্নীবীনা,
অভিশপ্ত গর্ভেও আমি বুলাই যত্নের পরশ!
বুঁকের ভাজে কষ্ট পুঁষে, আঁচলে জড়াই নিরাশ্রয় পতঙ।
আমি দেখিনা পাপ, ন্যায়ের চোখে কালো কাফন,
আমার ভুমিষ্টজাত আকড়ে কই,
স্রস্টা তার আগে যেন হয় আমার দাফন।
কে বলে আমি দুর্বল,আমি পুরুষের অনুগত দাস!
যুগে যুগে, আরো হাজারো জন্মে
আমিই শ্রেস্ট, আমিই দুর্বলের অভিলাষ! - ডার্ক এভিল

আমি প্রসুতি, আমি জায়া, আমি কারবালা
আমি কোমল,আমি কঠোর,
কে বলে আমি অবলা?
আমি চঞ্চলা চপলা, আমিই অনুগত দুহিতা
আমি সরোজ আলোকিনী পিতার গৌরব তাজ।
দুঃখিনী মাতার অশ্রুসজল নয়নে
আমিই ঝড়াই মুক্তদানা!
আম পিতার আশির্বাদ, এক সমুদ্র আশা
কখনো আমার কাঁধে বহন করি হতভাগার নিরাশা।
আমি প্রেমময়ী পুরুষের ছায়া!
আমি ভামিনী, সীতা, ধ্রুপদী নিজ গৃহস্তে,
করিনা কর্নপাত,দেখিনা দুঃখলীলা,
নির্ভয়ে যাতনা করি বরন, ছাইস্তুপে ঢাকি জ্বলন্ত অনল।
আমি শশধর হয়ে প্রভা ছড়াই আলয়,
ক্ষীন আলোয় প্রসস্থ্য করি স্বপ্নকুল।
আমি নরের বিশ্বাস, আমিই তার শক্তি
আমার ভক্তিতেই পরজনমে তার মুক্তি।
আমি শ্বাশত,আমি চিতন্তন করুনাময়ী পত্নী
পরশ্রীকাতর নরের ও আমি করি ক্ষমা!
আমি জন্মদাত্রী,আমি মহীরূহ
আমার শীতল ছায়ায় রোপন করি ভবিতব্য প্রজন্ম।
অভিলাষ বিসর্জত সন্তানের তরে
দ্যুলোক-ভূলোক ভুলে,
আমিই তার সর্বজ্ঞ্যানে ঢালি পানি।
আমি স্নেহময়ী, কখনো কঠোরতায় অগ্নীবীনা,
অভিশপ্ত গর্ভেও আমি বুলাই যত্নের পরশ!
বুঁকের ভাজে কষ্ট পুঁষে, আঁচলে জড়াই নিরাশ্রয় পতঙ।
আমি দেখিনা পাপ, ন্যায়ের চোখে কালো কাফন,
আমার ভুমিষ্টজাত আকড়ে কই,
স্রস্টা তার আগে যেন হয় আমার দাফন।
কে বলে আমি দুর্বল,আমি পুরুষের অনুগত দাস!
যুগে যুগে, আরো হাজারো জন্মে
আমিই শ্রেস্ট, আমিই দুর্বলের অভিলাষ!

সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৬

"চিঠি দিও"

চিঠি দিও - মহাদেব সাহা

করুণা করে হলেও চিঠি দিও, খামে ভরে তুলে দিও 
আঙুলের মিহিন সেলাই 
ভুল বানানেও লিখ প্রিয়, বেশি হলে কেটে ফেলো তাও, 
এটুকু সামান্য দাবি চিঠি দিও, তোমার শাড়ির মতো 
অক্ষরের পাড় বোনা একখানি চিঠি 
চুলের মতন কোন চিহ্ন দিও বিষ্ময় বোঝাতে যদি চাও। 
সমুদ্র বোঝাতে চাও, মেঘ চাও, ফুল পাখি, সবুজ পাহাড় 
বর্ণনা আলস্য লাগে তোমার চোখের মতো চিহ্ন কিছু দাও। 
আজোতো অমল আমি চিঠি চাই, পথ চেয়ে আছি 
আসবেন অচেনা রাজার লোক 
তার হাতে চিঠি দিও, বাড়ি পৌছে দেবে। 
এক কোনে শীতের শিশির দিও এক ফোঁটা, সেন্টের শিশির চেয়ে 
তৃনমূল থেকে তোলা ঘ্রাণ 
এমন ব্যস্ততা যদি শুদ্ধ করে একটি শব্দই শুধু লিখো, তোমার কুশল! 
ওইতো রাজার লোক যায় ক্যাম্বিসের জুতো পায়ে, কাঁধে ব্যাগ, 
হাতে কাগজের একগুচ্ছ সীজন ফ্লাওয়ার 
কারো কৃষ্ণচূড়া, কারো উদাসীন উইলোর ঝোঁপ, কারো নিবিড় বকুল 
এর কিছুই আমার নয় আমি অকারণ 
হাওয়ায় চিৎকার তুলে বলি, আমার কি কোনো কিছু নেই? 
করুনা করেও হলে চিঠি দিও, ভুলে গিয়ে ভুল করে একখানি চিঠি দিও খামে 
কিছুই লেখার নেই তুব লিখো একটি পাখির শিস 
একটি ফুলের ছোটো নাম, 
টুকিটাকি হয়তো হারিয়ে গেছে কিছু হয়তো পাওনি খুঁজে 
সেইসব চুপচাপ কোনো দুপুরবেলার গল্প 
খুব মেঘ করে এলে কখনো কখনো বড়ো একা লাগে, তাই লিখো 
করুণা করেও হলে চিঠি দিও, মিথ্যা করেও হলে বলো, ভালোবাসি।


বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৬

"ইদানিং জীবন যাপন "

"ইদানিং জীবন যাপন "

(হেলাল হাফিজ)

আমার কষ্টেরা বেশ ভালোই আছেন।

প্রাত্যহিক সব কাজ ঠিক-ঠাক করে চলেছেন

খাচ্ছেন -দাচ্ছেন,অফিসে যাচ্ছেন,

প্রেসক্লাবে আড্ডা ও দিচ্ছেন।

মাঝে মাঝে কষ্টেরা আমার-

সারাটা বিকেল বসে দেখেন মৌসুমী খেলা,

গোল স্টেডিয়াম যেন হয়ে যায় নিজেই কবিতা।

আজকাল আমার কষ্টেরা বেশ ভালোই থাকেন,

অঙ্কুরোদ্গম  প্রিয় এলোমেলো যুবকেরা

অতৃপ্ত মানুষের শুশ্রূষা করেন। বিরোধী দলের ভুল

মিছিলের শোভা দেখে হাসেন তুমুল,

ক্লান্তিতে গভীর রাতে ঘরহীন  ঘরে ও ফেরেন,

নির্জন নগরে তারা কতিপয় নাগরিক যেন

কত কথপোকথনে কাটান বাকীটা রাত,

অবশেষে কিশোরীর বুকের মতন সাদা ভোরবেলা

অধিক ক্লান্তিতে সব ঘুমিয়ে পড়েন।

আমার কষ্টেরা বেশ ভালোই আছেন,মোটামুটি সুখেই আছেন।

প্রিয় দেশবাসী,

আপনারা কেমন আছেন...?

শনিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৬

" দহন "

"  দহন "

( কাজী রোজী)

ভাত দিবার পারোস না ভাতার হবার চাস

কেমন মরদ তুই হারামজাদা

নিত্যি রাইতে ক্যান গতরে গতর চাস

পরাণ যদি না রয় পরাণে বাঁধা ?

যে জন বাঁচতে চায় তারেই লড়তে হয়

তামাম দুইন্যা জুড়ে বুঝছে এখন

নিঠুর জঠর জ্বালা সইতে পারেনা বলে

সবাই সহ্য করে সব জ্বালাতন ।

কৃষক লড়াই করে জমিনে ফসল ভরে

সাত পুরুষের ভিটে আগলে রাখে

কানাকড়ি মূল্যের সে ভিটের দাম দিতে

কোটি টাকার মহাজন আড়ালে ডাকে ।

ছাওয়াল কানলি পরে পোড়া এ গতরডারে

মাঝির বৈঠা ভেবে দাঁড়ে দিই টান

হায়রে সোয়ামী তোরে ছুঁইয়া কইতে পারি

খরায় জমিন পোড়ে পোড়েনা পরাণ।

এটটু ভাতের লাগি,এটটু ত্যানার লাগি

গল্পের মত এই গতর দিলাম

ভাত দিতি পারলি নে তবু ও ভাতার হলি

হায়রে সোয়ামী তুই -ই ডাকলি নিলাম ।

শুক্রবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৬

"কম্প্রোমাইজ করো ... স্যাক্রিফাইস করো"

"একটা রেস্টুরেন্টের মেন্যু পছন্দ না হলে, আস্তে করে টেবিল ছেড়ে উঠে চলে আসো ... ইচ্ছের বিরুদ্ধে সেখানে খাওয়ার কোন মানে নেই !!

"মানুষ কি ভাববে" - এই চিন্তাটাই তোমাকে ভুলের ভেতর, অপছন্দের জগতে, ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন একটা জায়গায় আটকে রাখছে ... এই চিন্তাটা সরিয়ে ফেলো মাথা থেকে ... নিজের ভালোর জন্যই !!

পৃথিবী তোমাকে বলবেঃ

"কম্প্রোমাইজ করো ... স্যাক্রিফাইস করো"

যেখানে তুমি এক ফোঁটাও শান্তি পাচ্ছো না, যেখানে তুমি আগাগোড়া ভুলের অস্তিত্ব টের পাচ্ছো, যেখানে আটকে থাকলে তোমাকে বুকের ভেতর যন্ত্রণা পুষে বেঁচে থাকতে হবে, সেখানে 'কম্প্রোমাইজ' কিংবা 'স্যাক্রিফাইস' শব্দগুলো মানায় না !!

'হয়তো একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে' - নামক কারাগারে নিজেকে আটকে রেখে আর কত কষ্ট দিবে ?? 

যেটা ভুল পথ, সেটা ভুল পথই ... সে পথটা মসৃণ হলেও সেটা ভুল পথ ... সেই পথের পাশে সুন্দর ঝর্ণা থাকলেও সেটা ভুল পথই !!

যেটা ভুল মানুষের হাত, সেই হাতের মুঠোয় গতকালও কোন শান্তি ছিল না, আজও কোন শান্তি নেই, আগামীকালও কোন শান্তি থাকবে না !!

যখন তুমি টের পাবে, তুমি ভুল পথে আছো, ঐ মূহুর্তেই সরে আসো ... যখনই টের পাবে, তোমার হাতের মুঠোয় ভুল মানুষের হাত, সরে আসো !!

হয়তো অনেক দেরি করে টের পেয়েছো ... হয়তো অনেকটা পথ হেঁটে চলে এসেছো ... হয়তো অনেকটা সময় পার হয়ে গিয়েছে ... হয়তো অনেক বেশিই ক্ষতি হয়ে গেছে ... তবুও ... সরে আসো ... ভুল জায়গায় আটকে থাকাটা কোন সমাধান না !!

It's Better LATE than NEVER !!"

"স্নান" (জয় গোস্বামী)

"স্নান"

(জয় গোস্বামী)

সংকোচে জানাই আজ : একবার মুগ্ধ হতে চাই।
তাকিয়েছি দূর থেকে।এতদিন প্রকাশ্যে বলিনি।
এতদিন সাহস ছিলোনা কোন ঝর্ণা জলে লুন্ঠিত হবার,
আজ দেখি-অবগাহনের কাল পেরিয়ে চলেছি দিনে দিনে

জানি,পুরুষের কাছে দস্যুতাই প্রত্যাশা করেছো।
তোমাকে ফুলের দেশে নিয়ে যাবে বলে যে প্রেমিক
ফেলে রেখে গেছে পথে,জানি-তার মিথ্যা বাগদান
হাড়ের মালার মতো এখনো জড়িয়ে রাখো চুলে।

আজ যদি বলি,সেই মালার কঙ্কালগ্রন্থি আমি
ছিন্ন করবার জন্য অধিকার চাইইতে এসেছি? যদি বলি-
আমি সে পুরুষ,দ্যাখো,যার জন্য তুমি এতকাল
অক্ষত রেখেছো ঐ রোমাঞ্চিত যমুনা তোমার?

শোন,আমি রাত্রিচর।আমি এই সভ্যতার কাছে
এখনো গোপন করে রেখেছি আমার দগ্ধ ডানা,
সমস্ত যৌবন ধরে ব্যাধিঘোর কাটেনি আমার।আমি একা-
দেখেছি ফুলের জন্ম,মৃতের শয্যার পাশে বসে,
জন্মান্ধ মেয়েকে আমি জ্যোৎস্নার ধারনা দেব বলে
এখনো রাত্রির এই মরুভূমি জাগিয়ে রেখেছি।

দ্যাখো,সেই মরুরাত্রি চোখ থেকে চোখে আজ পাঠালো সংকেত,
যদি বুঝে থাকো,তবে একবার মুগ্ধ করো বধির কবিকে,
সে যদি সংকোচ করে,তবে লোক সমক্ষে দাঁড়িয়ে
তাকে অন্ধ করো,তার দগ্ধ চোখে ঢেলে দাও অসমাপ্ত চুম্বন তোমার
পৃথিবী দেখুক,এই তীব্র সূর্যের সামনে তুমি
সভ্য পথচারীদের আগুনে স্তম্ভিত করে রেখে
উন্মাদ কবির সঙ্গে স্নান করছো প্রকাশ্য ঝর্ণায় !

বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৬

হলেও হতে পারে...........?

‘S’ দিয়ে শুরু নামের মানুষরা কেমন হন? জেনে নিন…

Azim Ahmed August 30, 2016লাইফ স্টাইলহেলথ টিপস Leave a comment 20,234 Views

নাম কি শুধুই পরিচিতি নাকি আরও অনেক কিছু? এই যেমন ধরুন, নামের আদ্যক্ষর দিয়েই নাকি বোঝা যায়, আপনি কেমন ধরনের মানুষ?

আপনার স্বভাব-চরিত্র। অনেকে মানেন, অনেকে মানেন না। মানা-না মানাটা অবশ্যই যাঁর যাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। একটু খেয়াল করে

দেখলে দেখা যায় পরিচিতদের মধ্য S দিয়ে নামের ছড়াছড়ি। কেমন হন তাঁরা, যাঁদের নাম S দিয়ে শুরু?

১) S মানে নতুন শুরু। নতুন করে শুরু করতে সবচেয়ে ভাল পারেন S-দিয়ে শুরু হওয়া নামের মানুষরা।

২) এঁরা খুবই অনুভূতিপ্রবণ হন। প্রচণ্ড পরিশ্রমী হন। তবে এঁরা স্বভাবে শান্ত।

৩) এঁরা আকর্ষণীয় হন। প্রেম করতে এঁদের জুড়ি মেলা ভার।

৪) অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে এঁদের প্রচণ্ড ঝোঁক।

৫) তবে, জীবনে চলার পথে এঁদের অনেক চড়াই-উতরাই আসে ।

৬) S-রা একটু হুজুগ প্রিয়। অতীত নিয়ে অনুতাপ এঁদের স্বভাববিরুদ্ধ। এঁরা বর্তমানে বাঁচেন।

৭) S-দিয়ে শুরু হওয়া নামের মানুষরা কঠিন সময়ে নিজেদের শান্ত রাখতে জানেন। তবে বাইরে থেকে বোঝা যায় না।

মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৬

কাল থেকে ঠিক মাণুষ হবো !


আজকে তুমি শুনেছ কি রাতের বাংলা খবর
কাল সকালে বৃষ্টি হবে ভিজবে সারা শহর
ভিজবে শহর দালানকোঠা ভিজবে তোমার বাড়ি
জানলা দুটো খুলে রেখ ভাঙাবো কাল আড়ি

বৃষ্টি তোমার ভীষন প্রিয়, প্রিয় মাটির ঘ্রান
পর জন্মে দুটোই হবো দুটোই তোমার প্রাণ
অভিমানকে এবার না হয় দিলে কবর চাপা
ধরলে মাথা কথা শুনে খেয়ে নিও নাপা

বলছি সরি আর হবে না করছি মাথা নত
কাল থেকে ঠিক মানুষ হবো তোমার কথা মতো।
কাল থেকে ঠিক মানুষ হবো তোমার কথা মতো।

জানি তুমি সুযোগ পেলেই আকাশটাকে দেখ
এবার তবে আকাশ হবো খাতায় লিখে রেখ
কাল বিকেলে বৃষ্টি শেষে চুমুক দিয়ে কাপে
আকাশটাকে সঙ্গি করো তোমার চোখের মাপে

বলতে যদি রাতের খবর মনের জলবায়ু
এক মুহুর্তে কমিয়ে দিতাম অভিমানের আয়ু
দাওনা বলে রাগ কি তোমার আমার চেয়ে বড়
এমন রাগে ভয় পাবে তো পথের কুটো খড়ও

বলছি সরি আর হবে না করছি মাথা নত
কাল থেকে ঠিক মানুষ হবো তোমার কথা মতো।
By.....Anjan Dutta.

সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৬

তোমায় স্মরণ করা মানে গঙ্গার জল দিয়ে গঙ্গার পূজা করার মতো !

"পরাণের গহীন ভিতর"
(সৈয়দ শামসুল হক)

তোমারে যে ভালোবাসে এর থিকা আরো পাঁচগুন
আল্লার কসম আমি তারে দিমু এই জামাখান,
আমার কলম আমি দিমু তারে,শরীলের খুন-
দোয়াত ভরায়ে দিমু,অনুরোধ খালি একখান-
সে য্যান আমার থিকা আরো ভালো পদ্য লেখে,আর-
যাদু মন্ত্রে রূপার শিকল হাতে দিতে পারে তার।
তোমারে যে ভালোবাসে এর থিকা আরো দশগুন
আল্লার কসম আমি দিমু তারে এই বাড়িখান,
আমার উঠান আমি দিমু তারে,শীতের আগুন-
নিজেই সাজায়ে দিমু,অনুরোধ খালি একখান-
সে য্যান আমার থিকা আরো ভালো নিদ্রা যায়,আর-
তারেই নিকটে পায়,কথা যার নিকটে থাকার।
নচেৎ নষ্টামি জানি,যদি পাছ না ছাড়ে আমার
গাঙ্গেতে চুবান দিয়া, তারে আমি শুকামু আবার।

অামরা, সত্যি অাজ শোকাহত ৷ দিনে দিনে অামরা সেই উপকারী বন্ধুদের হারাচ্ছি যাদের কাছে অামরা কৃতজ্ঞ ৷ ভালো থাকুন অাপনারা !

রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০১৬

অাধুনিকতা নয়, পূর্ণাঙ্গ মাণুষ হওয়াই শোভনীয় !

শুধুমাত্র একটি ভুল, যার কারনে সারা জীবন পস্তাতে হয়.........

✓ কেন আগেরদিনের ‘পরাধীন’ গৃহিণী মায়েদের ঘরের মমতা আর শান্তি আজকের ‘স্বাধীন’ চাকরিজীবী মায়েদের ঘরে নেই?

✓ কেন আজ একটার পর একটা ডিভোর্সের সংবাদ আসে?

✓ কেন এত এত ‘উচ্চশিক্ষা’র বহর আর ‘নারীর ক্ষমতায়ন’ এর পরও ঘর ভাঙ্গছে?

✓ কেন মেয়েরা পুরুষের সাথে ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং সব শেখার পরও আত্মহত্যা করে?

✓ কেন গৃহিণী মায়েদের ‘ব্যাকডেটেড’ বলা ‘আধুনিকা কর্মজীবী নারী' কে সুখের খোঁজে সাইকোলজিস্টের কাছে ধরনা নিতে হয়?

এসব কিছুর কারণ একটাই আর তা হল, সেক্যুলার শিক্ষার বহরকে মাথায় জায়গা দিতে গিয়ে ইসলামিক জ্ঞান, মূল্যবোধ, নৈতিকতা সব হারাতে বসেছে মানুষ। বিয়ের সময় পাত্র-পাত্রী বাছাইয়ের সময় দ্বীনদরিদ্রতাকে স্রেফ ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে; দুনিয়াবী যোগ্যতাকে সব ভেবে ঝাঁপাচ্ছে মানুষ। আরে যেই ছেলে প্রস্রাব করে কীভাবে পবিত্র হতে হয় সেটা জানেনা, সে স্ত্রীর হক্ব কী করে আদায় করবে? যেই ছেলে সুদী ব্যাঙ্কে চাকরি করে আল্লাহর সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, সে স্ত্রীর কী নিরাপত্তা দেবে? সমাজের মা-বাবারা কি এসব বোঝে না?

সুতরাং দুনিয়ার স্ট্যাটাসকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে মানুষ এভাবে শয়তানের প্রথম ফাঁদে পা দেয়। এরপর দ্বিতীয় ফাঁদ হল বিয়ের অনুষ্ঠান। জেনে রাখা উচিত, বিয়ে কোন সামাজিক অনুষ্ঠান না, এটা একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। কিন্তু এটাকে মুশরিকি কালচারাল ফাংশন বানিয়ে ফেলে যতরকম নষ্টামি আছে সবের যোগান দিয়ে মানুষ দিনশেষে দুয়া করে আল্লাহ্ যেন দাম্পত্য জীবন সুখী করেন। কী কপটতা, কী মূর্খতা! পুরো বিয়ের অনুষ্ঠানে খুশি করা হয় শয়তানকে, আর শান্তি চাওয়া হয় আল্লাহর কাছে! (নাউজুবিল্লাহ)

এরপর সাংসারিক জীবন। প্রথম দুটো ক্ষেত্রে শয়তানকে খুশি করা মানুষেরা এই জীবনে সুখী হয় না। তবু আল্লাহর কাছে ফিরে আসার তো কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। তাই যখন মানুষ সাংসারিক জীবনে সমস্যায় পড়ে তখন কর্তব্য হল আগেকার ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে ইসলামের মধ্যে সমাধান খোঁজা। কিন্তু মানুষ এক্ষেত্রেও আল্লাহর দিকে ফেরে না। তারা সমাধানও চায় শয়তানের কাছে। এটা হল শয়তানের তৃতীয় ফাঁদ। কেউ ভারতীয় সিরিয়ালে মুশরিকদের কাছে, কেউ মেহতাব খানম-সারা যাকেরদের মত বাতিল আদর্শের অনুসারীদের কাছে। তাদের দেখানো পথে হেঁটে শান্তি আসা তো দূরের কথা, যেটুকু ছিল তাও চলে যায়। ফলাফল সংসারে বিপর্যয়, কখনো ছাড়াছাড়ি আবার কখনো বা আত্মহনন। আর বেঁচে থেকে হিসাব মেলানো জীবনে কী কী পেলাম না, আর ‘মেয়েরা এত খারাপ’ কিংবা ‘ছেলেরা সবই এমন’ টাইপের বস্তাপচা বুলি।

কী তুচ্ছ এদের জীবন, কী অপমানজনক এদের অস্তিত্ব! আফসোস!! পক্ষান্তরে যারা ইসলামকে একমাত্র জীবনব্যবস্থা হিসেবে নিয়েছে, তারা যেমন দ্বীনদারিদ্রতাকে সবার ওপরে রাখে, বিয়ের ক্ষেত্রেও আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করে, বৈবাহিক জীবনের পরীক্ষাগুলো আল্লাহর ওপর ভরসা রেখেই মোকাবেলা করে, সব সমস্যার সমাধান ইসলামের মধ্যেই খোঁজে। এরা কাঙ্ক্ষিত সেই শান্তির দেখা ঠিকই পায়; সেজন্য লক্ষ টাকা কামানো লাগে না, অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট বুকিং দেওয়া লাগে না, স্ত্রী-সন্তানের মুখের একটু হাসি আর রাতের আঁধারে স্রষ্টার দরবারে দাঁড়িয়ে ঝরিয়ে ফেলা দু-ফোঁটা চোখের পানিই এদের জীবনকে শান্তিময় করে তুলতে যথেষ্ট। আলহামদুলিল্লাহ।

বি.দ্র. শুধু মাত্র ছেলেদের ফোকাস করা হয়েছে এই জন্য যে, উপরোক্ত সমস্যা গুলো সমাধানের জন্য ছেলেদের মানসিকতার উন্নয়ন খুব প্রয়োজন ৷

শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

এমনও কিছু স্বপ্ন থাকে শুধু নীরবে কাঁদার ৷

মেয়ে : বাবা, তুমি ঘন্টায় কত টাকায় আয় কর?
বাবা: (স্তম্ভিত হয়ে) কেন সেটা দিয়ে তোমার কী দরকার?
মেয়ে: দরকার আছে বাবা, প্লিজ বল না...!
বাবা: ২০০ টাকা।
মেয়ে: আমাকে সেখান থেকে অর্ধেক ধার দিতে পারবে?
বাবা: (রেগে গিয়ে) দেখ, আমি অনেক কষ্ট করে টাকা রোজগার করি, তুমি যদি ভেবে থাকো আমার সেই টাকা ধার
করে খেলনা কিনবে, তাহলে খুব খারাপ কাজ করেছো। এখন বরং ঘুমাতে যাও।
.
বাবার রাগ কিছুক্ষণ পর নেমে গেলো। তিনি ভাবতে লাগলেন- হয়তো অন্য কোন কাজে টাকাটা মেয়ের আসলেই দরকার। তিনি মেয়ের ঘরের দরজায় নক করলেন-
.
বাবা: ঘুমিয়েছিস মা?
মেয়ে: না, বাবা।
বাবা: এই নে, আমি তোর জন্য ১০০ টাকা নিয়ে এসেছি।
.
মেয়ে দরজা খুলে দিলো, তার হাতে একটা কাঁচের বৈয়ামে অনেকগুলো খুচরো টাকা। দেখে বাবার মেজাজ আবারো খারাপ হয়ে গেল...
.
বাবা: তোমার কাছে তো দেখছি যথেষ্ট টাকা আছে, তারপরও তুমি আমার কাছে টাকা ধার চাইলে কেন?
মেয়ে : না বাবা , আমার কাছে যথেষ্ট টাকা ছিলো না; তোমার ধার দেয়া ১০০ মিলিয়ে হয়েছে। এই নাও
বাবা, এখানে ২০০ টাকা আছে। তুমি কী আগামী কাল এক ঘণ্টা আগে ঘরে ফিরে আমার সাথে রাতের খাবার খেতে পারবে??
.
তারপর আমাকে একটা গল্প শোনাবে, আমাকে জড়িয়ে আদর করবে... বাবা তার মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলেন।
-------------------------
কাদের জন্য এত কষ্ট করছেন? একবারও কী জানতে চেষ্টা করেছেন, তাঁরা আসলে কী চায়? সম্মানিত অভিভাবকদের কাছে প্রশ্ন রাখলাম?

জীবন একটু বেশীই বর্ণিল!!

যে মেয়েটা ঘামের দূর্গন্ধ শুনলে বমি
করে দিত সেই
মেয়েটাই এখন দরজার ওপাশে দাড়িয়ে
থাকে কারো
গায়ের ঘামে ভিজা শার্টটা বারান্দায়
নিয়ে শুকাতে দেয়..
.
যে মেয়েটাকে বিয়ের আগে কেউ
খাইয়ে না দিলে
খেতে চাইতনা সেই মেয়েটাই এখন কারো
জন্য খাবার
বেড়ে বসে থাকে কারণ প্রিয় মানুষটার
মুখে খাবার না
দিয়ে খাবার পেটে যায়না।
.
যে মেয়েটার ঘর সবসময় অগুছালো
থাকতো
সেই মেয়েটি এখন পুরো একটা পরিবার
গুছায়
ঘরের প্রতিটি কোণায় কোণায় তার
পদার্পন কারন সে
এখন মেয়ে নয় কারো ঘরের বউ।
.
যে মেয়েটার ঘুম ভাঙ্গার জন্য মা
প্রতিদিন বকা দিত
সেই মেয়েটিই এখন বাড়ির সবাইকে
ডেকে তুলে কারণ
এই বাড়িতে তাকে সবার আগে ওঠতে হয়.
.
যে মেয়েটা বাচ্চাদের পায়খানা
দেখলে দশ হাত দুরে
থাকতো সেই মেয়েটিই এখন ন্যাপকিন
নিয়ে বাবুর
পিছনে দৌড়ায় কারণ সে এখন একজন মা।
.
যে মেয়েটা হাঁস মুরগীর বিষ্ঠা দেখলে
একসময় নাক
ছিটকাতো সেই মেয়েটি এখন তলপ্রদেশে
হাত দিয়ে
দেখে ডিম আছে কিনা
কারণ ছোট্ট সোনামণিটা যে ডিম খেতে
বড্ড
ভালবাসে।
.
যে মেয়েটা কখনো রান্নাঘরে ওকি
দিয়েও দেখেনি
সেই মেয়েটাই এখন রান্নাঘরের শ্রেষ্ঠ
রাধুনী যার
হাতের রান্না না খেলে পরিবারের
কারোর তৃপ্তির ডেকুর
ওঠেনা।
.
যে মেয়েটা একসময় প্রচুর হাতখরচ করতো
বাবার কাছে
এইটা সেইটার বায়না ধরতো সেই মেয়েটা
এখন অনেক
কৃপন হয়ে গেছে কারন সে বুঝতে শিখেছে
তারও এখন
একটা সংসার আছে।
.
এই মেয়েগুলো আর কেউ না আপনার আমার
মা, মেয়ে,
বোন, আবার কারো সহধর্মীনিও
আসলে মেয়েগুলো জন্মগতভাবেই
পরিবর্তনশীল হয়
বাপের সংসার থেকে স্বামীর সংসার
এরই মধ্যেই
তাদের জগতসংসার ।
.
মেয়েগুলোকে ভালোবাসতে শিখুন তারা
যতোই খারাপ হোক না কেনো তারই
কিন্তুু আপনার জীবেনর সবকিছু..
জন্ম হতে মৃত্যু পর্যন্তই কোনো না কোনো
মেয়েই আপনার পাশে থাকবে আপনাকে
সাহায্য করার জন্য....
জন্মতে মা এর আদর...
তারপর বোনের আদর....
তারপর কোনো মেয়েকে
ভালোবাসলেন....
তারপর বিয়ে করলেন.....
তারপর কোনো মেয়েই আপনার বউ হলো...
তারপর আবার আপনার মেয়ে হলো...
হয়ত বৃদ্ধ বয়সে আপনার বউ আগেও মারা
যেতে পারে..
তখন আপনার মেয়েরাই হয়ত দেখাশুনা
করবে....
তাহলে কেনো সেই মেয়েদেরকে আপনি
খারাপ বলবেন..
মেয়েদেরকে আপনি বুঝান আপনি পারেন
তাদের বুঝাতে..কারন মেয়েরা একমাএ
আপনার শাসন কে ভয় পায়....

কিছু বিচ্ছুর থেকে বোধ হয় ক্যানসার অনেক ভালো

Tahmida Jannat নামের এই মেয়েটা কিছুদিন আগে মারা
গেছে ক্যানসারে ।
তার FB আপডেট গুলো আমার বন্ধু তালিকার একজন
শেয়ার করেছে ।
পড়ে শেয়ার না করে পারলাম না ।
বাস্তবতা কি জিনিস, তা দেখিয়ে দিয়ে গেলো......
.
৭-৩-২০১৩.........
আজ আমার ক্যান্সার জীবনের সপ্তম দিন । খবরটা আব্বু
আম্মু আমাকে দেয়ার সাহস করে নাই । সারিন আমাকে
জানায় আমার লিউকেমিয়া ।
কিভাবে নিব ব্যাপারটা বুঝতে পারছিলাম না । আমিতো
ক্যানসারকে চাই নাই ।
তাহলে সে কেন আসলো আমার কাছে । আমিতো অন্য
কাউকে চেয়েছিলাম...
যাহা পাই তাহা চাইনা ।
.
১৩-৭-২০১৩.........
শেষ পর্যন্ত স্কুলে যাওয়াও বন্ধ হল আমার । ব্লিডিং
বেড়ে যাচ্ছে । কি অদ্ভুত । একসময় জ্বরের ভান করে পড়ে
থাকতাম । আর এখন স্কুলে যাওয়ার জন্য সুস্থ থাকার
অভিনয় করতে হয় । পোয়েটিক জাস্টিস ।
ক্যান্সার মনে হয় একটা মানুষের অতীতের সব খোজ খবর
নিয়ে আসে । এই যে একসময় বৃষ্টি ভালো লাগত না ।
কিন্তু এখন যেন বৃষ্টিকেই আপন মনে হয় । রোদ অসহ্য
লাগে । রোদ আমাকে আমার অক্ষমতার কথা মনে করিয়ে
দেয় ।
.
২২-৯-২০১৩.........
আজ আমার বন্ধুরা আমাকে দেখতে এসেছিল । ঐশি,
মৌমিতা,সানি, রিয়ন । অনেকদিন পর একটা ভালো সময়
কাটালাম । কিন্তু কোথায় যেন সুরটা কেটে গেছে ।
আমি জানি ওরা আমায় প্রচন্ড ভালোবাসে । সানি
আমার চোখের দিকে তাকাচ্ছিল না। লজ্জায় বোধহয় ।
সম্পর্কটা শেষ হয়েছে প্রায় তিনমাস । আমার
ক্যান্সারের কথা শুনে সানিই আস্তে আস্তে দূরে সরে
যায় । আমি জানি ও আর মৌমিতা প্রেম করা শুরু করেছে
। খারাপ লেগেছে ওরা আমাকে খোলা মনে ব্যাপারটা
জানালেই পারত। সত্যি কথা শোনার অধিকার কি
থাকেনা একজন ক্যন্সার রোগীর । সবাই এমন অভিনয়
করে কেন ?
.
১৬-১-২০১৪.........
অনেকদিন লিখিনি । অনেক দেরি হয়ে গেছে । রোগটা
আমাকে গ্রাস করে ফেলছে । ইদানিং সানিকে খুব মনে
পড়ে । ওকে ফোন দেই ধরেনা । ক্যান্সার তো ছোঁয়াচে
না । তবে কেন এত অবহেলা । আজকাল রিসানের সাথে
কথা বলে সময় কাটে আমার। ছেলেটার সাথে আমার
ফোনে পরিচয় । কোন শর্ত ছাড়াই ভালোবাসে আমায় ।
কিন্তু আমার কিছু করার নেই । একজন ক্যান্সার রোগীর
কাউকে ভালোবাসার কিংবা কারো ভালোবাসা
পাওয়ার অধিকার নেই ।
.
২৬-১-২০১৪.........
দ্বিতীয় কেমো দিয়ে বাসায় আসলাম । চুলের ব্যপারে
সবসময় একটু বেশি খুত খুতে ছিলাম আমি । নতুন নতুন
ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু কন্ডিশনার কিনতাম । এখন আর ওসবের
প্রয়োজন হয়না । চুলই নেই, শ্যাম্পু দিয়ে কি করব ।
কাজের বুয়াকে বলে ড্রেসিং টেবিলটাকে ঘর থেকে
বের করে দিয়েছি । আয়নায় তাকাতে ভালো লাগেনা ।
এদিকে আব্বু আম্মুর মধ্যে ঝগড়া বেড়েই চলেছে দিন দিন
। এই সম্পর্ক বেশিদিন টিকবে না আমি জানি । ওইদিন
মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে দেখি আব্বু আমার পায়ের কাছে
বসে কাদছে । ভালোবাসার বিয়ের এ কি পরিণতি ।
ভালোবাসার থেকে বোধহয় ক্যান্সারও ভালো...
.
২-২-২০১৪.........
২৬ ঘন্টা পর আমার জ্ঞ্যান ফিরল । রিসানের সাথে
ঝগড়া করলাম অনেকক্ষন । ওর সাথে ঝগড়া করতে আমার
ভালো লাগে । ঝগড়া করার কেউ থাকা লাগে জীবনে ।
না হলে বেঁচে থাকাটাই বৃথা...
.
১৩-৩-২০১৪.........
গত ৪৮ ঘন্টায় আমায় নিয়ে যমে ডাক্তারে টানাটানি
হয়েছে । আমি আমার সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করেছি
ডাক্তাররা যাতে জিতে । কিন্তু জানি শেষ পর্যন্ত
জয়টা ক্যান্সারের হবে । লিখার শক্তি পাচ্ছিনা...
সানিকে অনেক মিস করছি । যদিও মিস করাটা উচিত না
। ক্যান্সার রোগীদের কাউকে মিস করার অধিকার
নেই...
.
২৫-৫-২০১৪.........
এই লিখাটাই বোধহয় আমার শেষ লেখা হতে যাচ্ছে ।
শেষ শক্তিটুকু জমিয়ে লিখাটা লিখছি । আমার রেখে
যাওয়া জিনিসের মধ্যে ডায়রিটা রিসানের ভাগে
পড়েছে । ছেলেটার মধ্যে মানুষের মুখে হাসি
ফোটানোর ঈশ্বর প্রদত্ত ক্ষমতা আছে । ও অনেক ভালো
থাকুক । লিখতে লিখতে চোখের কোণে জল জমে
একফোটা । এই জলটা কার জন্য । জানিনা । খুব মিস করব
। বাবা মাকে, আমার ছোট্ট বোনটাকে । বন্ধুদের মিস
তো করবই । সানি ভালো থাকুক । স্কুলের সামনে যে
মামাটা আচার বিক্রি করত, তাকেও মিস করব অনেক ।
আচ্ছা, স্বর্গে কি আঁচার বিক্রি হয় । মনে হয়না ।
আরেকটা দিন বেঁচে থাকার শখ ছিল । আফসোস ।
যাহা চাই তাহা পাইনা ।
.
অবশেষে মে মাসের ২৭ তারিখে তার যুদ্ধটা শেষ হয় ।
আল্লাহ তাকে ভালো রাখুক ।